কিছুদিন পর মনে হয় তিস্তা নদীতে কোন ব্রীজ থাকবে না.......???? পড়ুন

লিখেছেন লিখেছেন shaidur rahman siddik ২৫ এপ্রিল, ২০১৪, ০২:৩৬:১৮ দুপুর



সেতু নির্মাণের

অজুহাতে বেঁধে ফেলা হয়েছে তিস্তা নদীকে।

এমনিতে ভারতের গজলডোবা বাঁধের

কারণে প্রায় শুকিয়ে গেছে তিস্তা। মৃত প্রায়

নদীর শেষ ধারাটি বাঁধ দেওয়ায় পানি প্রবাহ

প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে ছোট

নৌকার চলাচল, মাছসহ জলজ প্রাণের আসা-

যাওয়া। পানির প্রবাহ কমায় প্রভাব

পড়েছে রংপুর, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের

বিস্তৃত চরাঞ্চলে। সেইসঙ্গে নদীর

গভীরে বালি ও মাটি ফেলায় তলদেশ

পলি জমে ভরাট হওয়ার

সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

তিস্তা ব্যারেজ থেকে ২৮ কিলোমিটার

ভাটিতে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুর

ঘাট। ঘাটের দক্ষিণ পারে রংপুরের

গঙ্গাচড়া ও উত্তরে লালমনিরহাটের

কালিগঞ্জ উপজেলার কাকিনা। এক মাস

আগে মহিপুর ঘাটে নির্মাণাধীন সেতুর মালামাল

পরিবহনের জন্য আড়াআড়ি বাঁধ

দিয়ে রাস্তা তৈরি করে সেতুটির

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নাভানা কনস্ট্রাকশন

লিমিটেড। প্রায় আধা কিলোমিটার বালি ও

খোয়া ফেলে প্রবাহমান নদীতে আড়াআড়ি বাঁধ

দিয়েছে কোম্পানিটি। ফলে উজানের

সঙ্গে ভাটির পানির প্রবাহ প্রায় বন্ধ

হয়ে গেছে।

বুধবার সরেজমিন মহিপুর ঘাটে গিয়ে দেখা যায়,

খেয়া পারাপার ঘাট থেকে শত গজ

ভাটিতে বালির বস্তা, খোয়া, নির্মাণ বর্জ্য

ফেলে নদীতে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে।

রাস্তাটির মাঝামাঝি অপর্যাপ্ত চারটি ছোট

আকারের পাইপ দিয়ে পানি প্রবাহ ঠিক রাখার

চেষ্টা করা হয়েছে। সেগুলো বালিতে প্রায়

ভরাট হয়ে গেছে। রাস্তাটি দিয়ে কাকিনার

দিকে সেতুর নির্মাণ

সামগ্রী ভর্তি গাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

অন্যান্য গাড়ি চলছে রাস্তায়। রাস্তা তৈরির

কারণে বন্ধ হয়ে গেছে খেয়াঘাটের

নৌকা পারাপার। ঘাটেই নৌকা মেরামত

করছিলেন খেয়াঘাটের মাঝি নজরুল ইসলাম।

তিনি জানান, এক মাস আগে ঘাটে বাঁধ

দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। ঘাটের

দায়িত্বে থাকা গোলাম রব্বানী

জানান, নাভানা কোম্পানি তাদের কাজের

সুবিধার জন্য নদীতে বাঁধ দিয়েছে। বাঁধ

থেকে আধা কিলোমিটার দূরে বড় জাল

ফেলে মাছ ধরছিলেন পাশের গ্রামে জেলারা।

তারা জানান, নদীতে বাঁধ দেওয়ায় ভাটিতে মাছ

কমে গেছে। উজান থেকে মাছ

আসতে পারছে না। রাস্তার দু’পারে প্রায়

আধা কিলো নদীর পানি প্রবাহ দেখা যায়।

গ্রামবাসীরা জানায়, রাস্তা করায় নদীতল

ভরাট হয়ে যেতে পারে।

নদীতে পানির প্রবাহ থাকা অবস্থায় কোন

আড়াআড়ি বাঁধ

দেওয়া হয়েছে জানতে চাওয়া হলে নাভানা কনস্ট্রাকশন

লিমিটেডের ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার

প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন,

আমরা পানি প্রবাহ বন্ধ করিনি। রাস্তার

নিচে কয়েকটি পাইপ দিয়ে পানি প্রবাহ ঠিক

রেখেছি।

সরেজমিন দেখা যায়, রাস্তার

নিচে দেওয়া পাইপগুলো পানি প্রবাহের জন্য

পর্যাপ্ত নয়। নদীতে বাঁধ

দিয়ে স্থাপনা নির্মাণ পানি উন্নয়ন বোর্ডের

অনুমোদন নিয়েছে কি না-

জানতে চাওয়া হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড

রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম

আজাদ বলেন, তিস্তার কোনো প্রাণ নেই।

তাই রাস্তা হতেই পারে। পানি এলে বর্ষায় ওই

রাস্তা ভেঙে নিয়ে যাবে।

একই বিষয় রংপুরের জেলা প্রশাসক ফরিদ

আহমেদের

নজরে আনা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

ফরিদ আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু

জানি না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞেস

করুন।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক

পরিবেশ কর্মী ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন,

স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ করা যাবে না।

যদি এটা করা হয়ে থাকে তাহলে সরকারের

উচিত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত

ব্যবস্থা নেওয়া। একই মত দেন বাংলাদেশ

পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ডা.

আবদুল মতিন। তিনি বলেন, নদীর ওপর

রাস্তা কোনোভাবেই করতে পারে না। একই

বিষয়ে পানি বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ম. ইনামূল

হক বলেন, অনেক সময় সাময়িক

রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে নদীকে বেঁধে ফেলা হয়।

এটি নদীর পানি প্রবাহের জন্য ক্ষতিকর। -

See more at: http://

http://www.shokalerkhabor.com/2014/04/25/130742.html#sthash.suFC3BnG.dpuf

বিষয়: বিবিধ

১০১৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

213138
২৫ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৪
হতভাগা লিখেছেন : সেখানে আবাসন ও ফসল চাষের ব্যবস্থা করলে দেশের আবাসন সমস্যা ও খাদ্য সমস্যা দূরীভূত হবে ।

একদিক দিয়ে ক্ষতি হলেও আরেক দিক দিয়ে লাভের দুয়ার খুলে যাবে ।
213160
২৫ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৫
shaidur rahman siddik লিখেছেন : মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ । আর আমার শিরোনামের "তিস্তা ও তিস্তা পাড়ের কাঁন্না" পর্বগুলি পড়লে হয়তো বুঝতে পারবেন ॥

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File